rs shohag
Tuesday 27 December 2016
Wednesday 14 December 2016
bangladeshi love story
বাংলা গল্প
"সবাইকে গল্পটা পড়ার জন্য অনুরুধ রইলো"-কিরে কেমন আচছ?
-এতক্ষণ তো ভালই ছিলাম,
-তাইলে এখন কি খারাপ লাগতাছে নাকি?
-নাহ তুমার সাথে কথা বলে আরো ভাল লাগতাছে,
-হুম তাই বল,
*ওর নাম ছিল দোলন,ওর সাথে আমার রিলেশন প্রায় একবছর ধরে,ওর কন্ঠ/গলার আওয়াজ আমার কাছে খুব ভাল লাগত বলতে গেলে ওর কন্ঠ আমায় পাগল করে দিত,ও যখন গান গাইত আমার মনে হত আমি আর পৃিথবীতে নেই যেন সপ্নের জগতে গুরুপাক খাচ্ছি।ওর হাটার ধরন আমায় পাগল করে দিত যেন এত সুন্দর করে একটা মানুষ কিভাবে হাটে আসলে ওকে মানুষ বলাটা ঠিক হবে না বলতে হবে যেন আল্লাহর নীজ হাতে বানানো একটা পরী।
-এই,
-হুম,
-আই ল্যাভ ইউ(I love u)
-যা শয়তান,
-এমন কেনো করো? প্লিজ বলোনা "
-যা শয়তান ল্যাভ ইউ টু(love u too)
*আমরা প্রায় একে অপরের সাথে দুষ্টুমি করতাম যেমন ওর চুল আচরে দিতাম,চোখে চোখে ওর সাথে কথা বলতাম।ও প্রায় আমায় কথায় কথায় শয়তান বলত কিন্তু এটা আমি বিশ্বাস করতাম যে দোলন আমায় খুব ভালবাসে,
-ওই,shohid ul islam shohagbanglagolpowww.facebook.com
-কি?
-হাতটা একটু ধরি?
-না,
-কেনো ?
-এমনি ই,
-যাও তাহলে তোমার সাথে কোন কথা নাই,
*ততক্ষনে হঠাৎ দোলন আমার হাতটা শক্ত করে ধরে এবং বলল
-এ হাত কখনো ছেড়ে দিবে না তো?
তার মাঝেই আমি আমার চোখ নামের বস্তুটির কোনে পানি অনুভব করতে পারলাম,
-না দোলন না, আমি তোমাকে এ জীবনে ও ভুলতে পারব না, জানো দোলন কেনো জানি আমার শুধু তোমায় নিয়ে ভয় হয় যেন কেউ আমার দোলন কে আমার কাছ থেকে কেরে নিতে চাইছে;
-না আষাঢ়,আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারব না,আমি তোমাকে ভালবেসেছি এবং চিরদিন ই ভালবেসে যাব।
*ততক্ষনে আষাঢ় মাসের বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল,আর বৃষ্টিই বুধয় আমাদের প্রেমের চির সাক্ষী হয়ে থাকবে,আমি দোলনকে এতটা ভালবাসি যে সেটা যদি আমি কোন ভাষায় কাউকে বুঝাতে যাই তাহলে বুধয় সে ভাষার শব্দগুচ্ছ শেষ হয়ে যাবে তবুও আমার ভালবাসার কথাগুচ্ছ শেষ হবে না।
-হ্যালো দোলন,
-হ্যা গো বলো,
-আজ একটু দেখা করতে পারবে?
-না গো,আজ আম্মুর শরীর খারাপ তাই বাসার সব কাজ একাই করতে হচ্ছে,
-তাহলে আগামী কাল একটু দেখা করো প্লিজ তোমার সাথে কিছু দরকারী কথা আছে
-ঠিক আছে,
""পরদিন""
-আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই দোলন,
-আমি ও কিন্তু আমার বাবা/মা কি তোমার সাথে আমার এ সম্পর্ক মেনে নিবে?
-কেনো মেনে নিবে না?
-কারন কোন বাবা/মা ই চায় না তার মেয়েকে বেকার ছেলের কাছে বিয়ে দিতে,
-হুম,ও তোমাকে যে জন্য ডেকেছি সেটা হল"আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি,আগামী শনিবার আমার ফ্লাইট।
-যাও ফাইজলামি করো না তো,
-আমি সত্তিই বলছি,আমি দেশের বাহিরে চলে যাচ্ছি,
*আমি স্পষ্ট দোলনের চোখে পানি দেখতে পাচ্ছি,দোলন আমায় কি যেনো বলতে চাচ্ছে কিন্তু বলতে পারছেনা,কারন তার চোখের কান্নাই দোলনের কথাকে বার বার থামিয়ে দিচ্ছে,
-তুমি চলে গেলে আমি কি নিয়ে থাকব?
-আরে বোকা আমি কি একে বারেই চলে যাচ্ছি নাক?আমি তো তোমার সাথে যোগাযোগ রাখবোই,তাছাড়া একটু আগেই তো তুমি বললে যে তোমার বাবা/মা তোমাকে কোন প্রতিষ্টিত ছেলে ছাড়া বিয়ে দিতে চাইবে না,আমি বিদেশ থেকে ফিরে এসেই তোমাকে বিয়ে করে ফেলব। কিগো এই হতবাগা টার জন্য একটু অপেক্ষা করতে পারবে তো?
*দোলন আমায় জরিয়ে ধরে কাদঁতে কাদঁতে বলছে"আমি তোমার জন্য চিরদিনই অপেক্ষা করতে পারব,চিরদিনই অপেক্ষা করতে পারব"
*আমি এখন প্লেনের ভিতরে আছি,মানে আকাশে ভাসছি,ইশ আমার সাথে যদি এখন দোলন ও থাকত তাহলে কতইনা ভাল হত,খুব মন চাচ্ছে যে দোলনের সাথে একটু কথা বলি কিন্তু প্লেনের ভিতরে তো সিম কার্ড ওপেন করা নিষেধ ,অবশেষে পৌছে গেলাম আমেরিকায়,পৌছার সাথে সাথেই দোলনকে জানালান যে আমি পৌছে গেছি তার সাথে অনেকক্ষন কথা হল,তারপর বাড়ির সবাইকে জানিয়ে দিলাম আমার পৌছে যাওয়ার কথা আর মাঝেই দোলনের সাথে দিনে প্রায় ২-৩ বার মোবাইলে কথা হত। কিন্তু প্রায় ২বছর পর একদিন হঠাৎ করে দোলন তার সিম কার্ডটা অফ করে ফেলে,আমার আর ভাল লাগছিল না শুধু একটা পশ্নই ভেশে উঠে বার বার বার যেন কেনো সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল?দোলনের বাসার সাথে থাকত আমার এক ঘনিষ্ট ফ্রেন্ড আর তার নাম ছিলো"অর্ক"কিন্তু অর্কের ফোন নাম্বার ও আমার কাছে ছিলো না তাই দোলনের সম্পর্কে আর কিছুই জানতে পারলাম না।কিন্তু পরে মনে হল দোলনকে ফেইজবুকে মেসেজ দেওয়ার কথা কিন্তু না পারলাম না কারন ওর আইডিটা ডিএকটিভ ছিলো।এভাবে অনেক প্রশ্নকে হাতে নিয়ে কেটে গেলো দীর্ঘ ৩টি বছর আর তার মাঝে ১বছর দোলনের সাথে কোন যোগাযোগ নেই।২সপ্তাহ ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসব ভাবছিলামার তার মাঝে দোলনকে বিয়ে করে চলে আসব তাও ভাবছিলাম।কালকে বিকাল ৪টায় আমার ফ্লাইট আর তার মাঝে বাড়ির কাউকে জানাইনি যে আমি আসব কারন আমি বাড়ির সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছি,
-আম্মু,আম্মু
-আরে খোকা তুই,
-কেমোন আছ আম্মু?
-হুম ভাল কিন্তু তুই আসবি তা আমাদের জানাসনি কেনো?
-আমি তোমাদের সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছি তাই।
*বাড়ির সবাইকে ভালো মন্দ জিজ্ঞাস করে, পরদিন সকালে রওনা দিলাম সেই চিরচেনা দোলন এর এলাকার উদ্দেশ্যে,তাদের এলাকায় যেতে না যেতেই অর্কের সাথে দেখা হল(অর্ক আমার ঘনিষ্ট ফ্রেন্ড)অর্ক আমায় দেখেই কেঁদে দিল আর আমিও ওকে দেখে না কেঁদে থাকতে পারলাম না ,আর সাথে অনেক কথা বলার পর জিজ্ঞাস করলাম সেই চিরচেনা দোলনের কথা আর তাছাড়া অর্কও জানত যে আমি দোলনকে কতটা ভালবাসি,
-দোস্ত,দোলনের কি খবর রে?
-ভাল,
-ওর সাথে একটু দেখা করিয়ে দিতে পারবি?
-না,
-কেনো?
-ওর বিয়ে হয়ে গেছে,
*আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল আমি আর নিজের অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছি না,একটু পর নীজেকে একটা ঘরে দেখতে পেলাম আর আমার পাশে বশে আছে অর্ক আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম এখন থেকে ৩বছর আগের দোলনের মুখের কথা গুলো যে দোলন ই আমায় বলতো আমি যেন ওকে কখনো ছেড়ে না যাই, কিন্তু সেই দোলনই নাকি অন্য কারোর সাথে সংসার করছে। অর্কের কাছ থেক্র জানতে পারলাম অর্ক নাকি দোলনকে একদিন আমার কথা জিজ্ঞাস করেছিল তাতে দোলন নাকি বলেছিল যে"যাকে ভালবাসতে হবে তাকেই যে বিয়ে করতে হবে সেটাতো নয়,তাছাড়া আমার যার সাথে বিয়ে হচ্ছে সেও কিন্তু দেখতে শুনতে খারাপ না"অর্কের সাথে কথা শেষ করে অর্ক আমায় বাসায় পোছে দিল,তার মাঝেই আমার ছুটি ও শেষ তাই আমি আবার আমেরিকায় চলে গেলাম তার পর কাজে মন বসাতে কষ্ট হচ্ছিল
৩বছর পর
-হ্যালো আম্মু কেমন আছ?
-ভাল,তুমি?
-হুম ভাল,
-আম্মু আমি দেশে আসব আগামী ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ৪তারিখ।
-ওকে বাবা এসো।(এভাবে বাড়ির সবার সাথে কথা হল)
*আজ সকাল ৯টায় আমি বাংলাদেশে এসে পোছলাম,বাড়ির দিকে রওনা হলাম ,আমাদের এলাকায় পৌছার সাথে সাথে আমার অর্কের সাথে দেখা হয়, আমি গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ওর সাথে ভাল মন্দ জিজ্ঞাস করলাম,আমি লক্ষ করলাম যে অর্ক আমায় কিছু বলতে চায় কিন্তু বলতে পারছে না,আমি জিজ্ঞাস করলাম,
-কিছু বলবি?
-হুম
-বল?
-দোলনের দুটো কিডনি ই নষ্ট হয়ে গেছে আর ও মৃত্তুর সাথে লরাই করছে,ও বুধয় আর বাছবে না রে জারন এপর্যন্ত কিডনি যোগার করতে পারে নি,
-কোন হাসপাতালে আছে?
-ঢাকা মেডিকেলে,
*অর্ককে বিধায় দিয়ে আমি আবার পিছনের দিকে মানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম অবশেষে ঢাকা মেডিকেলে পোছার পর দোলনের সেই মায়াময় চেহারাটা একটু দেখলাম যে মেয়েটা আগের থেকে অনেক শুকিয়ে গেছে,ঠোট দুটো যেন কাপছে,আমি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের রুমে গিয়ে ডাক্তারকে বললাম,
-দোলনকে আমি একটা কিডনি দিতে চাই,কিন্তু আমার একটা শর্থ আছে
-কি শর্থ ?
-দোলনের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ আমি দেব,
-কিন্তু কেনো?
-আমি ডাক্তারকে আমার আর দোলনের রিলেশনের সব কথা জানালান।
*আমি ডাক্তারের চোখের কোনে কিছু পানি দেখতে পেলাম আর তিনি বলল আসলেই আপনার মত মানুষ হয় না,তারপর আমি ডাক্তার সাহেবকে বললাম যে আজ রাত ১২টায় অপরেশন শুরু কারুন আজ ফ্রেব্রুয়ারীর ৪তারিখ আর ১২টার পর হবে ফ্রেব্রুয়ারীর ৫তারিখ,আর সেই ৫তারিখেই দোলনের জন্মদিন হয়তো তার এ জন্মদিনে আমি তাকে একটা কিডনি দিচ্ছি যেটা সে জানবে না। অবশেষে অপরশন শেষ আর আমি একটু সুস্থ হয়ে বাসায় চলে এলাম আর আমার ছুটিও প্রায় শেষ,আজ বিকাল ৪টায় আমার ফ্লাইট তাই আমি একদিন আগেই এয়ার ফুট চলে এসেছি।আর ওদিকে দোলন ও আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ডাক্তারকে চাপ দিতে লাগলেন যে তার কিডনি কে দিলন?ডাক্তারও চুপ থাকতে পারলেন না তাই সব বলে দিলেন আর সে সব কথা শুনে কান্না স্বরে সে জিজ্ঞাস করল আষাঢ় এখন কোথায়? ডাক্তার বলল আজ বিকাল ৪টায় তার ফ্লাইট,দোলন তাড়াতাড়ি করে এয়ার ফুটের উদ্দেশে রওনা দিলো এবং অবশেষে
এয়ার ফুটে পোছে আমায় খুজে বের করল আর তখনি প্লেন ছাড়ার বাকী মাত্র ১০মিনিট,দোলন দৌড়ে আমার কাছে আসতে লাগল আর আমি ওকে কিছু বলার সোজুখ না দিয়েই আমি প্লেনে উঠে গেলাম।
আজ আমার মন চিৎকার করে বলতে চাইছে ----
দোলন নিশ্চয় এখন তুমি কাদছ হয়তো তোমার এ কান্নার দাম আমার কাছে ছিলো কিন্তু এখন নেই কারন তুমি আমায় যে পরিমান কাদিয়েছো সে কান্নার কাছে তোমার কান্না হয়তো মূল্যহীন,তুমি হয়তো আমায় ভুলেই গিয়েছিলে কিন্তু এখন আর ভুলতে পারবে না কারন আমার শরীরের অংশ যে তুমি ভয়ে বেড়াবে চিরোকাল তাই আজ আমি তোমাকে না পেয়েও নিজেকে সার্থক মনে করছি।
(টাইপ গত ভুলের জন্য দুঃক্ষিত,আর অনেক কষ্ট করে টাইপ করেছি তাই কেমন লিখেছি সেটা জানালে খুশি হব।)
গল্পের নামঃ-"কনফিউজড ভালবাসা ২"
bangladeshi real story
আড্ডা দিয়ে রুমে ফিরতে ফিরতে
এগারোটা বাজিয়ে ফেললো অয়ন। বিছানায়
গা এলিয়ে দিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়েই
চমকে উঠলো সে। পাঁচটা মিসকল উঠে আছে
সাবা'র। সাইলেন্ট করা ছিলো, কিচ্ছু টের
পায় নি সে। তাড়াতাড়ি কল ব্যাক করলো।
বেশ কিছুক্ষণ রিং হবার পর ঐ পাশ থেকে
সাবার থমথমে গলা শুনতে পেল সে। বরফের
মত শীতল।
- হুম বলো।
- সরি, বাইরে ছিলাম, সাইলেন্ট করা ছিলো
তাই শুনতে পাইনি...
- তোমার ফোন সব সময় সাইলেন্টই করা
থাকে অয়ন। অথবা তুমি "অন্য" রুমে থাকো!
একদিন দুদিন না, দিনের পর দিন একই
ঘটনা... - আচ্ছা বাবা, আমি কি টের পেয়ে
সাথে সাথে কল ব্যাক করছি না?
- ভদ্রতা করে কল ব্যাক করার আর দরকার
নেই। এভাবে হয় না অয়ন। আমি আর কল দিবো
না।
- এসবের মানে কি? আমি তো কল দিবো! -
থাক তোমার আর দিতে হবে না। আমি না
বললে কল দাও না। সারাদিন একবারো মনে
হয় না একটু খোঁজ নেই। আমি বুঝি অয়ন। -
দেখো সাবা, এটা কিন্তু ঠিক না। আজব!
আজ সকালেও আমি...
- বললাম তো, তুমি এখন কিছু বলতে
পারছোনা, তাই কনটাক্ট রাখছো। তুমি
চাইলে চলে যেতে পারো অয়ন, এভাবে
থাকার মানে নেই কোনো।
- এভাবে তো সব কিছু শেষ হবার কথা ছিলো
না... কেন এরকম হলো? কত ভালো বন্ধু
ছিলাম আমরা,রিমেম্বার? এখন এমন হচ্ছে
কেনো? - যাস্ট লিভ। আমি তোমার বন্ধু
হয়ে থাকতে পারবো না।
অয়ন নিশ্চিত নয়, ফোন কাটার আগে সাবার
ফোঁপানির আওয়াজ পেয়েছে কিনা।
কিন্তু ফোন কেটে দেয়াতে সে খুব একটা
অবাক হয় নি। সিলিং এর দিকে তাকিয়ে সে
বিড়বিড় করে বললো,"এরকম তো হবার কথা
ছিলো না!" প্রথম প্রথম সাবার সাথে
রাতের পর রাত যখন কথা বলে কাটিয়ে
দিতো সে, সময় মনে হত যাদুঘড়ির মত
ফুরিয়ে যেত। কত টপিকে কত না বলা কথা!
কত চেনে নেয়া, ধীরে ধীরে কাছে আসা!
কখন যে তাদের সম্বোধন নাম ধরে ডাকা
থেকে বাবুটা হয়ে গেলো টেরই পেল না দুই
জন! কথা হত, দেখাও হলো। ভালোবাসা
পাগলামি বেড়ে গেলো। একটা সময় অয়ন
আবিষ্কার করলো,সে অলস হয়ে গেছে।
ভালোবাসা পেয়ে পেয়ে তার মনে চর্বি
জমে গেছে। সারাদিন নিজের মত ব্যস্ত
থাকে, সাবার কথা ভুলেই যায় যে একটু
ফোন নিয়ে খবর নেই। ভাবটা এমন, "আরে সে
তো আছেই, কই যাবে সে? এত কেয়ার না
নিলেও চলে!"
সাবা অয়নের পরিবর্তনে কষ্ট পায় খুব।
সেই প্রথম পরিচয়ের উন্মাদনা টা কই যেন
হারিয়ে গেছে। আগের মত আগ্রহ, আকর্ষণ
কিছুই নাই আর ছেলেটার মাঝে। ছেলেরা
এমনই- যখনই টের পায় কোন মেয়ের হৃদয়
পুরোটাই তার দখলে, তখনই তারা দপ করে
আকর্ষণ হারিয়ে কেমন উদাস কুদাস হয়ে
যায়। সাবা আর নিতে পারছে না এই
অবহেলা।
অয়ন বুঝতে পারে না কি করবে। আনমনে
মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে দেখে
সাবার এক বিশাল ম্যাসেজ। যার সারমর্ম
আসলে গুডবাই নোট। আইডিটাও কালো হয়ে
গেছে ,রিপ্লাই পাঠাবার আর সুযোগ না
দিয়ে।
রাত দুটোর দিকে অয়ন প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে
শোয়া থেকে উঠে বসে। গত তিন ঘন্টা যাবত
সে ইগো আর আবেগের সাথে যুদ্ধ করেছে।
সে আবার কল দিবে? মেয়েটাতো বিদায়
বলে দিয়েছে। ব্লক মেরে দিয়েছে। সে
আবার নত মুখে তাকে ফিরিয়ে নিতে
বলবে? কেনো? অয়ন বুঝছিলো এরকম কিছু
হবে। রিলেশন ব্যাপারটা হবার আগ পর্যন্ত
বেশ মজার। কিন্তু সেটাকে টেনে নিয়ে
যাওয়াটাই আসল ব্যাপার। তার নিজেরও
একটা লাইফ আছে। সব সময় কি একই রকম টাইম
দেয়া যায় নাকি? কিন্তু সে তো সাবাকে
ভুলতে পারবে না। কাকে সে এখন ঘুম
ভাঙিয়ে আদর দিবে সকাল বেলা? কে তার
জন্য না খেয়ে থেকে জোর করে পাঠাবে
খেতে? অয়ন ভেজা চোখে মোবাইল হাতে
নিতেই একটা ম্যাসেজ আসার টোন বেজে
উঠে। অয়নের বুক ধ্বক করে উঠে আশায়। এত
রাতে আর কে পাঠাবে ম্যাসেজ? হুম,
সাবাই পাঠিয়েছে। " I love u babu, ami thakte
parbo na tomake chara "
অয়ন ভেজা চোখেই মন খুলে হেসে উঠে।
প্রচন্ড ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে সে
ঝাপসা চোখে ম্যাসেজটার দিকে তাকিয়ে
থাকে। ম্যাসেজটার প্রতিটা বর্ণ আলাদা
আলাদা রংতুলির মত আচড় কাটছে বুকের
গহীনে। অয়ন চোখ মুছে রিপ্লাই লিখতে
থাকে। আজ রাতটা কোন এক অদভুত উপায়ে
তাদের জন্য অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
কর্পোরেট ভালোবাসা আর ধোঁকাবাজীর
এ যুগে হীরক খন্ডের চেয়ে মূল্যবান একটা
মেয়ের সত্যিকার ভালোবাসা।
অতিভাগ্যবান কেউ কেউ সেই অমূল্য
জিনিসটা পেয়ে যায়। মেয়েরা খুব সহজে
কাউকে মন থেকে ভালো বাসে না। আর যদি
একবার ভালোবেসেই ফেলে, তাকে আটকে
রাখে একদম বুকের ভিতরে,কিছুতেই দেয়
না হারিয়ে যেতে। কেউ আসলে পারেও না
তখন হারাতে।।
এগারোটা বাজিয়ে ফেললো অয়ন। বিছানায়
গা এলিয়ে দিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়েই
চমকে উঠলো সে। পাঁচটা মিসকল উঠে আছে
সাবা'র। সাইলেন্ট করা ছিলো, কিচ্ছু টের
পায় নি সে। তাড়াতাড়ি কল ব্যাক করলো।
বেশ কিছুক্ষণ রিং হবার পর ঐ পাশ থেকে
সাবার থমথমে গলা শুনতে পেল সে। বরফের
মত শীতল।
- হুম বলো।
- সরি, বাইরে ছিলাম, সাইলেন্ট করা ছিলো
তাই শুনতে পাইনি...
- তোমার ফোন সব সময় সাইলেন্টই করা
থাকে অয়ন। অথবা তুমি "অন্য" রুমে থাকো!
একদিন দুদিন না, দিনের পর দিন একই
ঘটনা... - আচ্ছা বাবা, আমি কি টের পেয়ে
সাথে সাথে কল ব্যাক করছি না?
- ভদ্রতা করে কল ব্যাক করার আর দরকার
নেই। এভাবে হয় না অয়ন। আমি আর কল দিবো
না।
- এসবের মানে কি? আমি তো কল দিবো! -
থাক তোমার আর দিতে হবে না। আমি না
বললে কল দাও না। সারাদিন একবারো মনে
হয় না একটু খোঁজ নেই। আমি বুঝি অয়ন। -
দেখো সাবা, এটা কিন্তু ঠিক না। আজব!
আজ সকালেও আমি...
- বললাম তো, তুমি এখন কিছু বলতে
পারছোনা, তাই কনটাক্ট রাখছো। তুমি
চাইলে চলে যেতে পারো অয়ন, এভাবে
থাকার মানে নেই কোনো।
- এভাবে তো সব কিছু শেষ হবার কথা ছিলো
না... কেন এরকম হলো? কত ভালো বন্ধু
ছিলাম আমরা,রিমেম্বার? এখন এমন হচ্ছে
কেনো? - যাস্ট লিভ। আমি তোমার বন্ধু
হয়ে থাকতে পারবো না।
অয়ন নিশ্চিত নয়, ফোন কাটার আগে সাবার
ফোঁপানির আওয়াজ পেয়েছে কিনা।
কিন্তু ফোন কেটে দেয়াতে সে খুব একটা
অবাক হয় নি। সিলিং এর দিকে তাকিয়ে সে
বিড়বিড় করে বললো,"এরকম তো হবার কথা
ছিলো না!" প্রথম প্রথম সাবার সাথে
রাতের পর রাত যখন কথা বলে কাটিয়ে
দিতো সে, সময় মনে হত যাদুঘড়ির মত
ফুরিয়ে যেত। কত টপিকে কত না বলা কথা!
কত চেনে নেয়া, ধীরে ধীরে কাছে আসা!
কখন যে তাদের সম্বোধন নাম ধরে ডাকা
থেকে বাবুটা হয়ে গেলো টেরই পেল না দুই
জন! কথা হত, দেখাও হলো। ভালোবাসা
পাগলামি বেড়ে গেলো। একটা সময় অয়ন
আবিষ্কার করলো,সে অলস হয়ে গেছে।
ভালোবাসা পেয়ে পেয়ে তার মনে চর্বি
জমে গেছে। সারাদিন নিজের মত ব্যস্ত
থাকে, সাবার কথা ভুলেই যায় যে একটু
ফোন নিয়ে খবর নেই। ভাবটা এমন, "আরে সে
তো আছেই, কই যাবে সে? এত কেয়ার না
নিলেও চলে!"
সাবা অয়নের পরিবর্তনে কষ্ট পায় খুব।
সেই প্রথম পরিচয়ের উন্মাদনা টা কই যেন
হারিয়ে গেছে। আগের মত আগ্রহ, আকর্ষণ
কিছুই নাই আর ছেলেটার মাঝে। ছেলেরা
এমনই- যখনই টের পায় কোন মেয়ের হৃদয়
পুরোটাই তার দখলে, তখনই তারা দপ করে
আকর্ষণ হারিয়ে কেমন উদাস কুদাস হয়ে
যায়। সাবা আর নিতে পারছে না এই
অবহেলা।
অয়ন বুঝতে পারে না কি করবে। আনমনে
মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে দেখে
সাবার এক বিশাল ম্যাসেজ। যার সারমর্ম
আসলে গুডবাই নোট। আইডিটাও কালো হয়ে
গেছে ,রিপ্লাই পাঠাবার আর সুযোগ না
দিয়ে।
রাত দুটোর দিকে অয়ন প্রচন্ড কষ্ট নিয়ে
শোয়া থেকে উঠে বসে। গত তিন ঘন্টা যাবত
সে ইগো আর আবেগের সাথে যুদ্ধ করেছে।
সে আবার কল দিবে? মেয়েটাতো বিদায়
বলে দিয়েছে। ব্লক মেরে দিয়েছে। সে
আবার নত মুখে তাকে ফিরিয়ে নিতে
বলবে? কেনো? অয়ন বুঝছিলো এরকম কিছু
হবে। রিলেশন ব্যাপারটা হবার আগ পর্যন্ত
বেশ মজার। কিন্তু সেটাকে টেনে নিয়ে
যাওয়াটাই আসল ব্যাপার। তার নিজেরও
একটা লাইফ আছে। সব সময় কি একই রকম টাইম
দেয়া যায় নাকি? কিন্তু সে তো সাবাকে
ভুলতে পারবে না। কাকে সে এখন ঘুম
ভাঙিয়ে আদর দিবে সকাল বেলা? কে তার
জন্য না খেয়ে থেকে জোর করে পাঠাবে
খেতে? অয়ন ভেজা চোখে মোবাইল হাতে
নিতেই একটা ম্যাসেজ আসার টোন বেজে
উঠে। অয়নের বুক ধ্বক করে উঠে আশায়। এত
রাতে আর কে পাঠাবে ম্যাসেজ? হুম,
সাবাই পাঠিয়েছে। " I love u babu, ami thakte
parbo na tomake chara "
অয়ন ভেজা চোখেই মন খুলে হেসে উঠে।
প্রচন্ড ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হয়ে সে
ঝাপসা চোখে ম্যাসেজটার দিকে তাকিয়ে
থাকে। ম্যাসেজটার প্রতিটা বর্ণ আলাদা
আলাদা রংতুলির মত আচড় কাটছে বুকের
গহীনে। অয়ন চোখ মুছে রিপ্লাই লিখতে
থাকে। আজ রাতটা কোন এক অদভুত উপায়ে
তাদের জন্য অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
কর্পোরেট ভালোবাসা আর ধোঁকাবাজীর
এ যুগে হীরক খন্ডের চেয়ে মূল্যবান একটা
মেয়ের সত্যিকার ভালোবাসা।
অতিভাগ্যবান কেউ কেউ সেই অমূল্য
জিনিসটা পেয়ে যায়। মেয়েরা খুব সহজে
কাউকে মন থেকে ভালো বাসে না। আর যদি
একবার ভালোবেসেই ফেলে, তাকে আটকে
রাখে একদম বুকের ভিতরে,কিছুতেই দেয়
না হারিয়ে যেতে। কেউ আসলে পারেও না
তখন হারাতে।।
Subscribe to:
Posts (Atom)